আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে এগিয়ে যেতে পারে ট্রেনের বগি ৷ যেমনটা বছরখানেক আগে ওড়িশায় হয়েছিল৷ একটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উৎকল এক্সপ্রেস গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গিয়েছিল পরের স্টেশনে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে আগেভাগেই ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের চাকা শিকল দিয়ে বাঁধল দক্ষিণপূর্ব রেল।
এ দিন দুপুর দুটো সময় কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩ মে মধ্য রাতে অথবা ৪ তারিখ ভোরে ফণী এ রাজ্যে প্রবল বেগে তাণ্ডব চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগেই ফণীর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৭০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। ফণী আছড়ে পড়ার পর গতিবেগ ১০০-র কাছাকাছি পৌঁছবে।”
অর্থাৎ তখন এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন থেকে সিভিয়ার সাইক্লোনে পরিণত হবে ফণী। তাতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ একটু কম হলেও প্রভাব যথেষ্ট পড়বে, এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
পশ্চিমবঙ্গে ফণীর প্রভাবে যে জেলাগুলি প্রভাবিত হবে, সেগুলি হলো পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া ও কলকাতা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে রাজ্যে ‘আয়লা’র সময় ঝড়ের গতিবেগ যা ছিল, তার প্রায় দ্বিগুণ গতিবেগ থাকবে ফণীর।কারণ ফণী অর্থাৎ এই ঘূর্ণিঝড়ের ‘রেডিয়াস’ বা ‘এরিয়া’ অনেকটাই বেশি। ফলে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার দুপুরেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের সাঁত্রাগাছি, শালিমার সমস্ত ইয়ার্ডেই ট্রেন লাইনের সঙ্গে কামরাগুলোকে চেন আটকে তালা দিয়ে দেওয়া হল। রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, এর আগে একাধিকবার ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে রেল ইঞ্জিনের এগিয়ে গিয়েছে৷ দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “ দাঁড়িয়ে থাকা কোনও ট্রেন যদি হাওয়ার দাপটে হঠাৎ চলতে শুরু করে তাহলে খুবই বিপদ। এই সুপার সাইক্লোন ফণীর ক্ষমতা আন্দাজ করেই তাই ট্রেনের কামরা চেন দিয়ে বেঁধে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
মতিহার বার্তা ডট কম ০৩ মে ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.